বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও খ্যাতিমান কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা জানানোর পর দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘পীর হাবিবুর রহমান সাহসী স্বপ্নবান মানুষ ছিলেন। তিনি ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘পীর হাবিবুর রহমান যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তার প্রয়োজন ছিল। অকালেই চলে গেলেন তিনি।’
গতকাল শনিবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বাদ জোহর পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে। এরপর বিকাল ৩টায় মরদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ। এরপর বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।
এর আগে, গতকাল শনিবার বাদ এশা রাজধানীর উত্তরা ৪ নং সেক্টর পার্ক জামে মসজিদে কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবার গভীরভাবে শোকাভিভূত। তারা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।